,

বগুড়া শহরে ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

নিজিস্ব প্রতিনিধিঃ আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যানজট নিয়ন্ত্রণে আগামী শনিবার (২৩ মার্চ) থেকে বগুড়ার শহরে ইজিবাইক এবং মোটা চাকার অটোরিকশা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু এ নিষেধাজ্ঞা নয়, বগুড়া শহরের অনিয়ন্ত্রিত যানজট নিরসনে ঈদের আগে আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পুলিশ।

বুধবার (২০ মার্চ) সকালে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা এবং পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে অনুষ্ঠিত জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

এসময় পুলিশ সুপার বলেন, উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় বগুড়াকে। বগুড়ার ১২টি উপজেলার মানুষই শুধু নয়, আশপাশের কয়েক জেলার মানুষ এ শহরে আসেন ঈদের কেনাকাটা থেকে শুরু করে নানা প্রয়োজনে। অতিরিক্ত মানুষ এবং যানবাহনের চাপে সড়কে সৃষ্টি হয় মাত্রাতিরিক্ত যানজটের, যা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক বিভাগকে। তবে প্রতিবছর এ সময়ে নানামুখী ইতিবাচক উদ্যোগ নেওয়ার ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে সড়কে। তাই এবার আগে থেকেই সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে এ সমস্যা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে হবে।

সভায় ঈদের আগে যানজট নিরসনে করণীয় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার, বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি শাহ মো. আখতারুজ্জামান ডিউক, কার্যকরী সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হামিদ মিটুল, বগুড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরুণ কুমার চক্রবর্তী, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম ডাবলু প্রমুখ।

সভায় শনিবার থেকে শহরের অভ্যন্তরে ইজিবাইক এবং মোটা চাকার অটোরিকশা প্রবেশ করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো হলো সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরে বড় বাস প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, শহরের স্টেশন রোডের ফলপট্টিকে অন্যত্র সরানো এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো এক লাইনে রাখার ব্যবস্থা করা, বড়গোলা থেকে কাঁঠালতলা পর্যন্ত রাস্তার সংস্কারকাজ সম্পন্ন হলে রাস্তাটি সম্পূর্ণ একমুখী করা, শহরে ভারী যানবাহন/ট্রাক প্রবেশ রোধে চারমাথা ও আজিজুল হক কলেজের সামনে ট্রাফিক ডিউটি বাড়িয়ে অবাধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা এবং জলেশ্বরীতলা কালীমন্দির সংলগ্ন দুটি রাস্তা একমুখী করা।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *